রিয়াদ হাসান: [২] সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার হৃদযন্ত্রে পেসমেকার বসানো হয়েছে। দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধায়নে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউ সুবিধা সম্বলিত কেবিনে বর্তমানে তার চিকিৎসা চলছে।

[৩] বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) বিকালে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক  ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানান, ম্যাডাম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। উনার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। উনার শারীরিক অবস্থা আগের চাইতে উন্নতি কিংবা অবনতি হয়নি। আগের মতোই আছেন তিনি।

[৪] গত ২১ জুন দিবাগত  রাতে গুলশানের বাসা ফিরোজায় খালেদা জিয়া হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে রাত সাড়ে ৩টায় অ্যাম্বুলেন্সে করে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

[৫] গত রোববার বিকালে এভারকেয়ার হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) চিকিৎসাধীন এই সাবেক প্রধানমন্ত্রীর হৃদযন্ত্রে পেসমেকার বসানো হয়। এরপর তাকে সিসিইউতে ২৪ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। খালেদা জিয়ার হৃদরোগের সমস্যা আগে থেকেই ছিল। হার্টে তিনটি ব্লক ছিল। আগে একটা রিং পরানো হয়েছিল। সবকিছু পর্যালোচনা করে বিদেশি চিকিৎসক ও মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে পেসমেকার বসানো হয়।

[৬] বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে অধ্যাপক এফএম সিদ্দিকী, অধ্যাপক শামসুল আরেফিন, অধ্যাপক একিউএম মহসিনসহ মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা কয়েক দফা বৈঠকে বসে খালেদা জিয়ার সর্বশেষ অবস্থা পর্যালোচনা করেন। মেডিকেল বোর্ডের এসব সভায় লন্ডন থেকে ডা. জোবাইদা রহমানসহ যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়ার কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।

[৭] সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ডায়াবেটিস, আর্থারাইটিস ছাড়াও হৃদরোগ, ফুসফুস, লিভারসহ কিডনির বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছেন। সম্পাদনা:সমর চক্রবর্তী